সাদিয়া আফরিন অন্তরা
 প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২০ - ০৩:১৮:০৬ অপরাহ্ন
কিডনির যত্ন নেয়া হোক এখন থেকেই
আমরা নিজেরা সুস্থ দাবী করি ততক্ষণ, যতক্ষণ আমরা ডাক্তারের কাছে যেতে বাধ্য না হই। তার মানে কি আমাদের শরীরে কোন সমস্যা নেই? আসলেই কি তাই? আজকাল চারপাশে এত স্বাস্থ্যসমস্যা মধ্যে কিডনি নিয়ে ভুগছে কত শত, হাজার মানুষ তা বেশিরভাগই অজানা। অথচ সহজ কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে কিডনিটা ভালো রাখা যায় খুব। আসুন জেনে নিই –
১) প্রতিদিন অবশ্যই অন্তত ৭-৮ গ্লাস (২-৩ লিটার) পানি খাওয়া দরকার।
২) কখনওই প্রস্রাব চেপে রাখবেন না। এতে সংক্রমণের (ইনফেকশন) আশঙ্কা থাকে।
৩) নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, রাস্তার খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত তেল-ফাস্ট ফুড বর্জন, নিয়মিত শারীরচর্চা করলে গোটা শরীরই ভাল থাকে। তার সঙ্গে সুস্থ থাকে কিডনিও।
৪) যখনই হাই-প্রেশার, ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা ধরা পড়ে, সেই সব রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি একেবারে প্রথম পর্যায় থেকেই জরুরি কিডনিরও দেখভাল।
৫) শরীরের ওজন কমাতে গিয়ে অনেকে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারেই বন্ধ করে দেন। কিন্তু এতে ক্ষতি হয় কিডনির। ডায়াটেশিয়ানদের মতে, খাবারে মোট ক্যালোরির ৬০শতাংশ যেন কার্বোহাইড্রেট থেকে আসে। তাই সারাদিন ছোট এক বাটি ভাত বা দুই-তিনটে রুটি বা দুই তিন রকম শাকসবজি-ফল খান।
৬) প্রক্রিয়াজাত খাবার ও প্যাকেটবন্দি খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই অ্যাডেড সল্ট এড়াতে এই ধরনের খাবার কম খান। এতে কিডনির রোগের আশঙ্কা প্রায় ২০ শতাংশ কমবে।
৭) জাঙ্কফুড বাদ দিতে হবে। নিতান্ত খেতে হলে সপ্তাহে এক দুই দিনের বেশি তো একেবারেই নয়। এতে প্রিজারভেটিভ ও লবণ থাকে। এগুলো সবই কিডনির জন্য ক্ষতিকারক।
৮) কমাতে হবে রাত জাগা। কারণ রাত জাগা, কাজের চাপ, বিশ্রামের অভাবে সবে মিলে টেনশন বাড়ে, বাড়ে হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ। সেই চাপ এসে পড়ে কিডনিতে।
কিডনি বিকল হতে সময় লাগে। তাই ফেলে না রেখে, অবহেলা না করে বার্ষিক পরীক্ষা করানো জরুরি। আর তার সঙ্গী হোক নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।