ফারজানা কলি
 প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৮ - ০৭:৩৬:২৮ অপরাহ্ন
দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিতে মানুষের আর্থিক চাপ যেমন বাড়ছে তেমনি মানুষের কর্মক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। এর চিকিৎসার জন্য একজন রোগীর মাসিক প্রায় ২,০০০ টাকা খরচ করতে হয় বলে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস এসোসিয়েশনের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। যেটি দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বড় হাসপাতাল হচ্ছে ঢাকার বারডেম হাসপাতাল। প্রতিদিন সকাল থেকে দেশের নানা জায়গা থেকে শত-শত মানুষ এখানে আসেন চিকিৎসার জন্য। রোগীদের প্রতিমাসে খরচ হয় প্রায় ২ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া যাদের ডায়াবেটিসের কারণে আরো নানাবিধ শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়েছে তাঁদের খরচ হয় ৯-১০ হাজারের মতো। ৭২% ডায়াবেটিক রোগী ট্যাবলেট খায় আর ১৭% ইনসুলিন ব্যবহার করে এবং ১১% রোগী দুটোই ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া সকল ডায়াবেটিক রোগীকে অন্যান্য ট্যাবলেট খেতেই হয়। কারণ এর সাথে অন্যান্য রোগ থাকে, এ ধরণের একটি রোগী কোন মতেই প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই হাজার টাকার নিচে চলতে পারবে না।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে এখন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭০ লক্ষ। একজন রোগীর যদি প্রতিমাসে গড়ে ২ হাজার টাকা খরচ হয়, তাহলে সে হিসেবে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা বাবদ প্রতিমাসে বাংলাদেশে খরচ হচ্ছে প্রতি মাসে ১৪ শত কোটি টাকা এবং প্রতি বছরে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার মতো। তাই সচেতনতার মাধ্যমে যদি ডায়াবেটিসের বিস্তার কমানো সম্ভব না হয়, তাহলে এ রোগের জন্য আগামী ১৫-২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ হবে।
তাছাড়া যেহেতু, ডায়াবেটিস অন্য আরও নানা ধরনের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে চিকিৎসা ব্যয় বাড়তেই থাকে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি বলছে, শারীরিক পরিশ্রম এবং খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতন না হলে তা এই দেশের স্বাস্থ্যখাতে বড় দুর্যোগের নিয়ে আসবে এই ডায়াবেটিস।
আরও পড়ুন যেসব মিষ্টি ফল খাওয়া যাবে ডায়াবেটিসেও