সাদিয়া আফরিন অন্তরা
 প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৮ - ১০:২৭:৩৭ অপরাহ্ন
যে অভ্যাসগুলো আপনার ক্যারিয়ার ধ্বংস করছে
মানুষ সামাজিক জীব, সমাজের একটি নিয়মের মাঝেই তাদের বসবাস করতে হয়। অফিসও একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
যে চাকরিটা করছেন তার ওপর আগ্রহ হারানোর বহু কারণ থাকতে পারে। ক্যারিয়ারে নতুন স্বাদ, বেতন বৃদ্ধি বা প্রমোশন কিংবা স্রেফ যান্ত্রিক জীবন থেকে বেরিয়ে আসার জন্যেও চাকরিটার প্রতি বিতৃষ্ণা আসে।
আপনার ক্যারিয়ার ধ্বংসের জন্য যে কারণগুলো দায়ী –
১। রাতে ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে অনেকেই সকালে অফিসে ঝিমুতে থাকেন। কিন্তু অফিস ঘুমানোর জায়গা নয়। বস দেখলেই বুঝে নেবেন, আপনি কাজের জন্য ফিট নন। তা ছাড়া এ অবস্থায় কাজ করা মানেই ভুলের আশঙ্কা রয়েছে। আপনার ওপর আস্থা হারাবেন কর্মকর্তারা।
২। নেশা করা কোনো সামাজিক কর্মকান্ডের মাঝে পড়ে না। এটি সবাই অনেক অপছন্দ করেন। কেননা এটি মানুষকে অপ্রস্তুত করে ফেলে। ফলে অফিসের কোনো এমপ্লয়ি যদি নেশাগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে তার কাজে মনোযোগ খুব কমই বসবে। তার মস্তিষ্কে বিচ্ছিন্নতা ঘটবে। ফলে সে হারিয়ে ফেলতে পারে তার চাকরিটি।
৩। কানাঘষার স্বভাবটি অত্যন্ত মন্দ একটি স্বভাব অর্থাৎ এর কথা তাকে লাগানো তার কথা একে লাগানো। এটি খুবই খারাপ একটি অভ্যাস। এই অভ্যাসটির কারণে চাকরি চলে যেতে পারে কেননা এতে অফিসের সুনাম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪। অফিসের দায়িত্ব পালনে আপনি আর আগের মতো সক্রিয় নন। যতটুকু না করলেই নয়, ততটুকুই দিচ্ছেন। এতে এমনকি চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। কিন্তু সে ভয় আপনাকে মোটেও কাবু করতে পারে না। অর্থাৎ, চাকরি গেলেও কিছু যায় আসে না আপনার। বুঝতে হবে, চাকরিটা আর করতে চাইছেন না।
৫। অফিসের সবচেয়ে বন্ধুসুলভ কর্মী হিসাবে পরিচিতি পেলেও এখন বদলে গেছেন আপনি। যার তার সঙ্গে হঠাৎ করেই বাজে আচরণ প্রকাশ পায়। মেজাজ বিগড়ে যায় যখন তখন। আর এ নিয়ে কোনো অনুশোচনাও আসে না মনে। এটা চাকরিতে অনীহা আসার বড় লক্ষণ বটে।
৬। আসলে অফিস এমন কর্মী চায়, যে কিনা দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারে। বিচ্ছিন্ন মানসিকতার কর্মীর প্রতি আগ্রহ হারায় কর্তৃপক্ষ। কাজেই সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করুন। নয়তো বেশি দূর এগোতে পারবেন না।