বার্তা প্রতিক্ষন
সর্বশেষ
লাল শাক, অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। বলা হয়ে থাকে, শিশুর ছয় মাস বয়সের পর তাকে লালশাকের পানি খাওয়াতে। তবে শুধু শিশু নয় সব বয়সী মানুষদের জন্যই এটি সমানভাবে উপকারী। কেননা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লাল শাক খেলে দেহে ভিটামিনের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামসহ এমন কিছু উপাদানের ঘাটতি দূর হয়, যা ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে রাখে। নিয়মিত লাল শাক খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় চলুন তা জেনে নিই-
১. লাল শাকে উপস্থিত কিছু উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে ক্ষিদে কমে যায়। এ কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। তাই নিয়মিত পাতে নিতে পারেন লালশাক।
২. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন লাল শাক খেলে শরীরের ভিতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর হয়। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
৩. লাল শাকে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি শরীরে উপস্থিত একাধিক টক্সিক উপাদানের ক্ষতি করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যান্সার সেল যাতে জন্ম নিতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে।
৪. এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া এটি গ্যাস্ট্রিকের জন্যও উপকারী।। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
৫. লাল শাকে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত লাল শাক খেলে একদিকে যেমন কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে, তেমনি রক্তে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়।
৭. লালশাকের মূল দিয়ে দাঁত মাজার পর লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের হলুদ ভাব কেটে যায়। সুতরাং যাদের দাঁতে হলদেটে ভাব রয়েছে তারা এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
৮. লাল শাকে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ কারণে এটি অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য উপকারী। তাই যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে তারা নিয়মিত লালশাক খাবার অভ্যাস করুন।
৯. গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেক বেশি। অর্থাৎ ১৫০০ থেকে ২০০০ মিলিগ্রাম। তাই লালশাক খেলে এই চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে।
১০.বাড়ন্ত শিশুর ক্যালসিয়ামের অভাব হলে দাঁত ও হাড়ের গঠন ঠিকমতো হয় না, ফলে শিশুর দৈহিক গঠন দুর্বল হয় এবং হাঁটাও বিলম্ব হয়। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের লালশাক খাওয়ার অভ্যাস করলে এ সমস্যা হবে না।
১১. ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের রিকেটস এবং বয়স্কদের অস্টিওপোরেসিস রোগ হয়। সুতরাং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে অন্যান্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্যের পাশাপাশি সস্তা ও সহজলভ্য লালশাক খাওয়া উচিত।
তবে একটা জিনিষ মাথায় রাখতে হবে, লালশাক বা যেকোনো শাক রান্নার সময় অবশ্যই অল্প তেল দিয়ে রান্না করার চেষ্টা করতে হবে। অতিরিক্ত তেল দিয়ে রান্না করা যাবেনা।
আরও পড়ুন প্রতিদিন কতটা ঘুম দরকার?
কোরবানিতে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে চাইলে এই ১০ টা নিয়ম... বিস্তারিত এখানে
আলু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য তালিকায় একটা অংশ। সবজি হিসেবে... বিস্তারিত এখানে
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত - ২০১৮ * এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
Code with Team Bartaprotikkhon